সুনামগঞ্জ , সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫ , ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনামগঞ্জ বিএনপিতে ফাটল, ১৮ ইউনিটে পাল্টা কমিটি দেড় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ বিশ্বম্ভরপুরে নারীর লাশ উদ্ধার দুই যুগ আগের ঝুলে থাকা ১০ হাজার মামলা নিষ্পত্তি করবে হাইকোর্ট পাঁচ মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ৯১০০ মামলা বিএনপি’র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি জগন্নাথপুরে রিংকনের মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়, শ্বাসরোধে হত্যা : পিবিআই হাউসবোটে বিদ্যুতের চোরাই জোগান! নৈতিক শিক্ষা-ভালো মানুষ হলেই দেশ উপকৃত হবে : সেনাপ্রধান জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশন কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়নে হাতিয়ার হবে না সীমান্তে জব্দকৃত ৯০টি ভারতীয় গরু গায়েব দোয়ারাবাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০ ভাড়াটিয়াদের আটকে রাখেন বাড়িওয়ালা, উদ্ধার করলো পুলিশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের বিশাল সমাবেশ অন্তর্বর্তী সরকার কি আদৌ নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে, প্রশ্ন তারেক রহমানের সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে তোলা ১০ দোকান উচ্ছেদ মুখ থুবড়ে পড়েছে ছাতক স্লিপার কারখানা নারীরা এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে : জেলা প্রশাসক নির্বাচন বানচালের চেষ্টা প্রতিহত করা হবে : আনিসুল হক জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন

৪০ বছরের ব্যবসায় এমন সংকট দেখিনি : এ কে আজাদ

  • আপলোড সময় : ২১-০৭-২০২৫ ১১:৫৭:২৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০৭-২০২৫ ১১:৫৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
৪০ বছরের ব্যবসায় এমন সংকট দেখিনি : এ কে আজাদ
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের কারণে তৈরি পোশাক খাতে রফতানি সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ।
তিনি বলেন, “আমার ৪০ বছরের ব্যবসায়িক জীবনে এমন সংকট আর দেখিনি।” রবিবার (২০ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে দৈনিক প্রথম আলো আয়োজিত ‘ইউএস রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ : কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য রাখেন তিনি। এ কে আজাদ বলেন, “আমরা যাদের কাছে রফতানি করি, সেসব বড় ব্র্যান্ড যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে চলমান ট্যারিফ নেগোসিয়েশনের খোঁজ রাখছে এবং লবিং করছে। তারা আমাদের স্পষ্ট করে জানিয়েছে, বাংলাদেশের পক্ষে ইতিবাচক ফল আসার সম্ভাবনা খুবই কম।” তিনি জানান, এ সংকট নিয়ে যখন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়, তখন লবিস্ট নিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। “প্রধান উপদেষ্টার দফতরে বার্তা পাঠানো হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল- ৯৫ শতাংশ সমাধান হয়ে গেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা কোনও ইতিবাচক অগ্রগতি দেখছি না,” বলেন তিনি। একজন ক্রেতার সঙ্গে সাম্প্রতিক যোগাযোগের কথা উল্লেখ করে এ কে আজাদ বলেন, “রবিবার একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড আমাকে মেইল পাঠিয়ে জানতে চেয়েছে- আগামী ১ আগস্ট থেকে তৈরি হওয়া পণ্যে যদি নতুন শুল্ক আরোপ করা হয়, তবে তার কত শতাংশ আমি বহন করবো। ওই ক্রেতার কাছে আমার রফতানির পরিমাণ ৮০ মিলিয়ন ডলার, যেখানে আমার লাভ ১.৩৭ মিলিয়ন ডলার। যদি আমাকে ৩৫ শতাংশ শেয়ার করতে হয়, তাহলে আমি টিকবো কীভাবে?” সরকারের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “সাত-আট মাস পর আপনারা (বর্তমান সরকার) চলে যাবেন। কিন্তু আমরা কোথায় যাবো? আমাদের ভবিষ্যৎ কী হবে? আমাদের কি আপনারা ঝুঁকিতে ফেলে যাবেন?” তিনি আরও বলেন, “অনেকে মনে করেন, কারও মাথার ওপর কেউ আছেন- তিনি এক ফুঁ দিলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা অন্যরকম।” আলোচনায় অংশ নিয়ে লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, “আমরা কনফিউজড। বাংলাদেশ সরকার আসলে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ইস্যুতে কী পথে হাঁটছে, সেটি এখনও পরিষ্কার নয়।” আলোচনায় অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী নেতা ও রফতানিকারকরা যুক্তরাষ্ট্রের রেসিপ্রোকাল ট্যারিফের বিরুদ্ধে শক্ত কূটনৈতিক তৎপরতা ও বেসরকারি খাতের সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগের তাগিদ দেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স